কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপন
সাময়িকী থেকে সংকলিত
রোহিতগিরি পাহাড়মালার পাদদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত কসবা একটি সমৃদ্ধ গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল । আভিধানিক অর্থে গ্রাম অপেক্ষা বড় কিংবা নগর অপেক্ষা ছোট বসতি সমৃদ্ধ গ্রাম হলো কসবা । ১৯৭১ সালে কসবার প্রাণকেন্দে এককালের স্মৃতি বিজড়িত একটি মুন্সেফ আদালত গড়ে উঠেছিল । হাট বাজার, রাস্তাঘাট,ততটা উন্নত না হলেও জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য বিচার ব্যবস্থার সুবিধার্থে ত্রিপুারা জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহুকুমা সদর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কসবা মুশেকি আদালতটি স্থানান্তরিত কথা হয়েছিল । শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস ছিলেন এই আদালতের মুন্সেফ । কসবা এককালে একটি হিন্দু প্রধান গ্রাম ছিল। ব্রিটিশ শাসন আমলে পূর্ববঙ্গে ও অর্থনৈতিক অবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা ছিল অনুন্নত । আশেপাশের দু' একটি গ্রামে মক্তব চালু থাকলেও আরবি ফার্সী ছাড়া সেখানে অন্য কোনো
ভাষা শিক্ষা দেওয়া হত না । তখনকার দিনে কসবার হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকেরা তাদের সন্তানদেরকে কলিকাতায় রেখে লেখাপাড়া শিখাতেন। কসবার অদূরে গুরুহিত গ্রাম এই গুরুহিত গ্রামের সম্রাট দত্ত পরিবারের বড় ছেলের নাম শ্রী মন মোহন দত্ত । শ্রী মনমোহন দত্তের পরে মেঝ ভাই শ্রী নিশিদত্ত ও সর্ব পূর্বেই বর্তমান কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি জায়গায় অবস্থিত তার উত্তর দিকে রাস্তার পাশে রয়েছে একটি খাল । এই কালের উত্তরে কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর, এই পুকুরের দক্ষিণে পাড়ে শ্রী মনমোহন দত্ত তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় নিজস্ব সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত ররেছিলেন মনমোহন পাঠশালা। শ্রী মনমোহন দত্ত শুধু প্রতিষ্ঠিাতাই ছিলেন না তিনি ছিলেন এই পাঠশালার প্রধান শিক্ষক । এই পাঠশালাটি তে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হত এই পাঠশালার কত শত ছাত্র যে উচ্চ শিক্ষা শিক্ষিত হয়েছিলেন তার ইয়ত্তা নাই । মুন্সেফ শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাহকুমা সদর থেকে তৃতীয় মুখেপী আদালতটি কসবায় স্থানান্তরের পর কসবায় এসে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদেরও নিয়ে আদালত চালু করেন । স্ত্রী কুমুদ রঞ্জন দাসের অধীনে এ সময়ে কসবা
থানার চড়নাল গ্রামের বাসিন্দা দুজন কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। একজনের নাম মুন্সী বসির উদ্দিন আহাম্মদ ও অপরজন ফজর আলী চাপরাসী। মুন্সী বসির উদ্দিন আদালতের নকল নবীশের পদে কর্মচারী ছিলেন । শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস কসবায় শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা দেখে একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপনেরবাসনা পোষণ করেন । এই পরিপ্রেক্ষিতে মুন্সী সাহেবকে ডেকে বাবু কুমুদ রঞ্জন দাস উনার সঙ্গে পরামর্শক্রমে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদে সঙ্গে বিদ্যালয় স্থানের জন্য কসবা ডাক বাংলাতে একটি আলোচনা সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন। উক্ত আলোচনা সভায় নিম্নে ভর্তি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বিদ্যালয়স্থাপনের আলোচনা । উপস্থিত সদস্যরা ছিলেন। শ্রী কুমুদ রঞ্জন (মুন্সেফ) শ্রী কৈলাশ গুপ্ত (কসবার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি) শ্রী অখিল চন্দ্র রায় পোদ্দার (কসবা সদর), জনাব আক্রাম আলী দারোগা গ্রাম তেতৈয়া, কসবা । শ্রী সুরেশ রায় (বিশিষ্ট ব্যক্তি) কসবা সদর, জনাব আলাউদ্দিন, কসবা সদর, জনাব আমিন উদ্দিন, কসবা সদর, শ্রী গগন চন্দ্র সাহা কসবা সাহাপাড়া,
মুন্সী বসির উদ্দির আহাম্মদ চড়ানাল, কসবা, শ্রী নব কিশোর ভূঁইয়া, কসবা, সাহাপাড়া, জনাব আশ্রাব আলী, দলিল লিখক, চড়ানাল কসবা, মনমোহন দত্ত, প্রধান শিক্ষক, মনোমোহন পাঠশালা । শ্রী গগনচন্দ্র সাহা, কসবা, শ্রী গোপাল সাহা, কসবা, শ্রী রাধা বল্লভ সাহা কসবা, শ্রী দ্বার কানাথ সাহা কসবা, শ্রী নবকিশোর ভূঁইয়া কসবা, শ্রী কৃষ্ণচন্দ্ৰ বেধা, কসবা । শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস তাদের আগ্রহ দেখে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আশাবাদী হয়ে উঠেন । ১৮৯০ খ্রি. যে সভাটি কসবা বাংলাতে অনুষ্ঠিত হয় তাতে বিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ ও বিদ্যালয়ের গৃহনির্মাণের টাকা সংগ্রহের আলোচানা করা হয় । দাতা সদস্যগণ যে জায়গা দান করে গিয়েছেন কসবা থান রাজস্ব বিভাগের এসএ খতিয়ানের খন্ডিয়ান-১০১১ এর ৯৯৩ দাগ ও অন্যান্য খতিয়ানে ১৭৪৯,৯৪৬ ১০৩,৯৪২,১৭৪৮,১০০৬ দাগসমূহে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের যে সকল ভবন নির্মিত নিহয়েছে সে গুলো তারই দানকৃত ভূমিতে । বিদ্যালয়ের গৃহ নির্মাণের জন্য ৮০০টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৮৯৯ খ্রি. জানুয়ারি মাসে কসবা আগরতলা রোডের পূর্বপার্শ্বে এবং উক্ত রাস্তার পূর্ব দিকে ডাকবাংলোতে যে রাস্তাটি গেছে এই দুই রাস্তা মিলন স্থলের দক্ষিণ পূর্বপার্শ্বে উঁচু নিচু জায়গায় স্কুল নিমার্ণের স্থান নির্ধারণ হয় । ১৮৯৯ খ্রি. এর কোন ওয়ারিশ ছিল না । বর্তমানে কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের যে সকল ভবন নির্মিত হয়েছে সেগুলো তারই দানকৃত ভূমিতে । বিদ্যায়ের গৃহ নির্মানের জন্য ৮০০ টাকা সংগ্রহ হয়েছিল । ১৮৯৯ খ্রি, জানুয়ারি মাসে কসবা আগরতলা রোডের পূর্বপার্শ্বে এবং উক্ত রাস্তার পূর্ব দিকে ডাকবালোতে যে রাস্তাটি গেছে এই দুই রাস্তার মিলনস্থলের দক্ষিণ পার্শ্বে উঁচু নিচু জায়গায় স্কুল নির্মাণের স্থান নির্ধারণ হয় । ১৮৯০ কসবা এমনই স্কুলের ১৮৯৯ খ্রি. ১৩ই এপ্রিল বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় ।
সর্বপ্রথম যে সকল শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে বিদ্যালয় চালু করা হয় তারা হলেনঃ
শ্রী অম্বিকা প্রসাদ রায়, এম.এ চাতলপার, নাছিরনগর, শ্রী নিশি দত্ত বি.এ, গুরুহিত কসবা, শ্রী সীশ চন্দ্র ভদ্ৰ, বিদ্যাকুট, নবীনগর, জনাব তুফা মিঞা চৌধুরী বি.এ. সৈয়দাবাদ, কসবা,শ্রী ওমাচরণ কাব্য তীর্থ, মেঘনাবাজ, দেবিদ্বার, কুমিল্লা।, শ্রী হীরের নাগ, করণীক, সরাইল, দক্ষিণ বাড়িয়া, শ্রী রমনী মোহন দাস, হরেন দপ্তরী, মনিয়ন্দ কসবা, উপরোক্ত শিক্ষক/কর্মচারীবৃন্দ খুব সুন্দরভাবে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন। এরই মধ্যে একটি অঘনট ঘটে গেল, শিক্ষক শ্রী সতীশ চন্দ্র ভদ্রকে কেন্দ্রে করে । তিনি কতিপয় ছাত্রকে শাস্তি দেয়ার ছাত্ররা রাতে বিদ্যালয়ের গৃহ অগ্নিসংযোগ করে বিদ্যালয়টি পুড়িয়ে দিয়েছিল । ফলে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায় । এই ঘটনার পরও শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস ধৈর্য হারাননি । তিনি কসবার বিত্তবান লোক শ্রী কৈলাশ, শ্রী কুঞ্জন পোদ্দার শ্রা নব কিশোর ভূঁইয়া ও শ্রী অকিল চন্দ্র রায় পোদ্দারের কাছে বিদ্যালয় পুনঃপ্রতিষ্ঠার আর্থিক সাহায্যে ও আবেদন জানান । তারা বিদ্যালয়টির কাঁচা ঘর তৈরীর জন্য ৪৫ হাজার টাকা শ্রী নব কিশোর ভূঁইয়ার কাছে জমা করেন । ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে এই টাকায় বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে যে ঘরটি পুড়ে গিয়েছিল যেখানে যে পুরানো ইট শুড়কির দালান ঘরটি ছিল তা নিমার্ণ ক. হয় । আর দক্ষিণ পার্শ্বে পূর্বে পশ্চিমে লম্বা করে পাকা দেয়াল করা একটি এ চালাঘর তৈরী করা হয় ।
বিদ্যালয়ের ঘর নিমার্ণ ও আসবাবপত্র তৈরীর কাজ শেষ হলে শ্রী কুমুদ রঞ্জন দাস কলিকাতা বাকুরা জেলার শ্রী আশুতোষ আইচ নামে একজন দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করেন । শ্রী আশুতোষ আইচ বিদ্যালয়টির নাম কসবা এইচ.ই স্কুল নামকরণ করে ও বিদ্যালয়ের মঞ্জুরির জন্য কলিকাতা বিদ্যালয়ের রেজিস্টারের নিকট আবেদন করেন । শ্রী আশুতোষ আইচ ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল ছিলেন । তিনি চলে গেলেন ১৯৩৬ খ্রিঃ বগুড়া জেলার একজন উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি জনাব জসিমুদ্দিন আহাম্মেদ এম.এ, বিটি.পি.এইচ.ডি (লন্ডন) প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন । শ্রী আশুতোষ আইচ- এর স্থলে জনাব জসিমুদ্দিন যোগদান করলে তিনি ঐ সময়ে যে সকল শিক্ষকবৃন্দ নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন তাঁরা ছিলেন- জনাব জসিমুদ্দিন আহাম্মদ, প্রধান শিক্ষক, এমএ, বিটি, পি.এইচ.ডি (লন্ডন),আই আরসি.এম, জনাব তুফা মিঞা, এম.এম.সি, জনাব নিবারণ কর, এম.এম.সি জনাব আব্দুল হাই, বি.এ.বুগির, কসবা, জনাব হাবিবুর রহমান চৌধুরী (ডাবল এম.এ.) রানীয়ারা, কসবা, শ্রী সুরেশ রায়, বি.এ.বিএল, কসবা, শ্রী মণীন্দ্র চক্রবর্তী, কাব্যতীর্থ, জনাব আবু আব্দুল্যা ওরফে কুন মৌলভী আই.এ.দেলী,কসবা, জনাব আব্দুস ছাত্তার, এম.এ. চড়নাল, কসবা । জনাব আব্দুল গণি
করণিকা, এন্ট্রাশ পাশ, মজলিশপুর, কসবা, জনাব আড়াই মিঞা, দপ্তরী, তেতৈয়া, কসবা । এই সময়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র জনাব আব্দুল ছাত্তার ১৯৩৫ ক্রিষ্টাব্দে ইংরেজি সাহিত্য এম.এ. পাস করার পর জনাব জসিমুদ্দিন তাকে শিক্ষকতার জন্য আহবান করলে তিনি কিছু দিন শিক্ষকতা করেছিলেন । জনাব জসিমুদ্দিন বেশি দিন কসবায় অবস্থান করেননি। তখন বিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিষদেও প্রেসিডেন্ট ছিলেন- জনাব তোফাজ্জল আলী বি.এ.বি. এল, কসবা, কাজী আব্দুল গফুর সেক্রেটারী চাপিয়া কসবা, হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, সদস্য তালতলা, সুরুজ মিঞা, সদস্য, তেতৈয়া, কসবা । দেবেন্দ্র পোদ্দার, কসবা । জনাব জসিমুদ্দিন ১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম দিকে চাকুরি ছেড়ে কলিকাতা বালিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন । উনার পর এত উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক কসবা উচ্চ বিদ্যালয়ে আর যোগদান করেননি । জনাব জসিমুদ্দিন চলে যাওয়ার পর তার পদে স্থলাভিষিক্ত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার বাদেশ্বর গ্রামের জনাব আবু নিছার ওয়াহেদ চৌধুরী বি.এ.বি.টি । জনাব আবু নিছার ওয়াহেদ চৌধুরী ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে চাকুরী ছেয়ে চলেযান । তার স্থলাভিষিক্ত হলেন জনাব আব্দুল হাই, বি.এ.বি.টি । তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা করতে
থাকেন । তার সময়ে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব যে সকল শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ নিয়োজিত ছিলেন তারা হলেনঃ- জনাব আব্দুল হাই, বি.এ.বি.টি, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জনাব তুফা মিঞা, এম.এসসি, জনাব হাবিবুর রহমান চৌধুরী (ডাবল এম.এ) শ্রী নিবারন কর, এম.এসসি, শ্রী সুরেশ রায়, বি.এ, শ্রী মণীন্দ্র চক্রবর্তী বি.এ, জনাব আব্দুল গনি, করনিক, জনাব আড়াই মিঞা, দপ্তরি, জনাব আব্দুল হাই ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান শিক্ষকের পদে পদোন্নতি রাভ করেন । ঐ সময়ে কসবা, এইচ,ই, স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র শ্রী সুরেন্দ্র চক্রবর্তী বি.এ.বি.এল সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন । তিনি ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে এন্ট্রেন্স পরীক্ষা পাস করে কলিকাতা চলে যান । যেখানে সংগীত চর্চা ও লেখাপড়ায় আত্ম নিয়োগ
করেন । শ্রী সুরেন্দ্র চক্রবর্তী এক বছর শিক্ষকতা করেছিলেন। পরে তিনি কলিকাতা বেতারের একজন নিয়মিত শিল্পী হয়ে যান ।পরবর্তীতে তিনি কলিকাতা আকাশবানী বেতারের ভাটিয়ালীসুর সম্রাট উপাধি লাভ করেন । শ্রী সুরেন্দ্র চক্রবর্তী উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী শচিন দেব বর্মনের অতি নিকটের লোক ছিলেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বিভাগের পর এই বিদ্যালয়ের কার্যকরী পরিদেও সদস্যরা হলেনঃ- জনাব নুর নবী চৌধুরী, মহকুমা প্রশাসন, জনাব বাশ মিঞা আখন্দ, সেক্রেটারী চাপিয়া, জনাব সুরুজ মিঞা, সদস্য তেতৈয়া, কসবা, জনাব আব্দুল আওয়াল, আকাবপুর, কসবা, বাবু মনুরঞ্জন ডাক্তার, কসবা । এ সময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে একজন শিক্ষক যোগদান করেন । তিনি হলেন শ্রী রঞ্জন চক্রবর্তী বি.এ বি.এড,তিনি ও বেশি দিন শিক্ষকতা করেননি । তার স্থানে ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন জনাব ইদ্রিস মিঞা এম.এসসি জনাব ইদ্রিস মিঞা ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে হোটেল শাহবাগে ম্যানেজার হয়ে চলে যান । ঐ সময়ে আরো দু'জন শিক্ষকের আগমন ঘটে । তাঁরা হলেন শ্রী শ্বশ্বধীর ভট্টাচার্য আই.এস.পি, পাটিয়া, চট্টগ্রাম শ্রী গোবিন্দ মুখার্জী সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম । জনাব আব্দুল হাই ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন । সে সময়ে আব্দুর রহমান খান এম.এ ( সেমন্তঘর) যোগদান করেন । তিনি ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে চলে যান । ঐ সময়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র
জনাব হাবিবুর রহমান বি.এসসি ২ আগস্ট ১৯৫৭ সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন । অক্টোবর প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য হলে মুরাদনগর থানার পান্ডুঘর নিবাসী জনাব দারু মৃধার একমাত্র পুত্র জনাব মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ প্রধান শিক্ষকের পদে যোগদান করেন। তার সময়ে যে সকল শিক্ষকবৃন্দ বিদ্যালয় পরিচালনায় কর্মরত ছিলেন তারা হলেনঃ- জনাব মফিজ উদ্দিন আহাম্মেদ, এম.এ.বি.এড, প্রধান শিক্ষক, জনাব এমদাদুল হক, বি.এ.বিটি, জনাব সিরাজুল ইসলাম, এম.এ, জনাব হাবিবুর রহমান চৌধুরী বি.এ.বি.টি আইসাব, জনাব আব্দুল কাদের বি.এ. বি.এড, হাতুড়াবাড়ি, কসবা, জনাব হাবিবুর রহমান বি.এসসি, তেতৈয়া, কসবা, শ্রী অনিল বাবু বি.এসসি জনাব আব্দুল জব্বার বি.এসসি, বড় বায়েক, কসবা, শ্রী গোবিন্দ মুখার্জী কাব্যতীর্থ, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম, জনাব আবু আব্দুল্যা, কনু মৌলভী আই,এ,দেলী কসবা, জনাব ইব্রাহিম মৌলভী কাছাইট,বি.বাড়িয়া, জনাব আব্দুল ছাত্তার আই.এ.কসবা, জনাব আব্দুল ছামাদ আই. এ. দরিকান্দি, বাঞ্ছারামপুর জহিরুল হক আই.এ. চাপিয়া, শ্রী ক্ষীরুদ রাহুল সাহা, মেট্রিক, কসবা, জনাব আব্দুর রহমান বি.এসসি, কসবা, জনাব ইব্রাহিম আলী, এফ.এম মৌলভী বাজার সিলেট, জনাব আব্দুল কাদের বি.কম, দুলালপুর, বুড়িচং, কুমিল্লা, জনাব সামসুজ্জামান, বি.এ.বি.এড, কাইতলা নবীনগর, জনাব আনোয়ারুল হক, বি.এ.বি এড, কাইতলা নবীনগর, জনাব আব্দুল আওয়াল,বি.এ.দেবগ্রাম, আখাউড়া, জনাব হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া, এস.এস.সি, জাজিসার, কসবা, শ্রী সুধীন রঞ্জন দেবনাথ, বি.এ.কোনবানপুর, মুরাদনগর, শ্রী নিত্য গোপাল বনিক.আই.এ, কসবা, জনাব আব্দুল গনি, মেট্রিক,করনিকা চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ঃ- মোঃ আড়াই মিঞা, তেতৈয়া, কসবা, মোঃ সুদন মিঞা তেতৈয়া, কসবা, ২ রা অক্টোবর ১৯৫৭ থেকে ২/৮/১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে পর্যন্ত যে সকল ব্যকিত কার্যকরী পরিষদে বিভিন্ন সময়ে ছিলেন তাঁরা হলেনঃ- সভাপতি মাহকুমা প্রশাসক, সার্কেল অফিসার জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,
সেক্রেটারী প্রধান শিক্ষক, সদস্য বৃন্দঃ- জনাব সুরুজ মিয়া, তেতৈয়া, কসবা । জনাব হাফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, তালতলা, কসবা । জনাব আব্দুল জব্বার চড়নাল, কসবা । জনাব আব্দুল ছালাম (মাস্টার), কসবা । জনাব ফিরোজ মৃধা, সৈয়দাবাদ, কসবা । জনাব শ্রী মনোরঞ্জন, আকাবপুর, কসবা । জনাব শাখাওয়াত হোসেন,ওরফে মুন্সেফ ডাক্তার, বাদৈর, কসবা । জনাব আব্দুল রশীদ, বি.কম. চড়নাল, কসবা । জনাব আফিল উদ্দিন ভূঁইয়া, তালতলা, কসবা, জনাব সৈয়দ মোঃ হায়দার, মীর শাহপুর, কসবা । জনাব মোঃ চান্দ মিঞা, গুরুহিত, কসবা । জনাব মফিজ উদ্দিনের অবসরে গ্রহণের মাধ্য দিয়ে বিদ্যালয়টির
বেসরকারি কসবা বহুমুখী বিদ্যালয় নামকরণ হয় । জনাব আব্দুল কাদের সরকারি নীতি অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন । সে মতে জনাব মফিজ উদ্দিনসাহেব দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন জনাব আব্দুল কাদের সাহেবের হাতে ।
পাদটিকাঃ- বিদ্যালয়ের ইতিকথা রচনায় যে সকল প্রাক্তন ও কৃতী ছাত্র মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন । এখানে শ্রদ্ধাভরে তাদের নাম উল্লেখ করেই আমার এ নিবন্ধের ইতি টানছি। মরহুম মৌলভী আব্দুল জব্বার,চড়নাল, কসবা, ২। মরহুম এম.এ. সাত্তার, চড়নাল, কসবা, ৩। জনাব এম.এ. ছালাম, চড়নাল, কসবা, ৪। জনাব হাসেম চড়নাল, কসবা, ৫। জনাব আবদুর হান্নান মাষ্টার, তেতৈয়া, কসবা, ৬। জনাব ফিরোজ মিঞা, তেতৈয়া, কসবা, ৭। শ্রী রবীন্দ্র চক্রবর্তী, কসবা প্রমুখ ।